ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
- Update Time : ১০:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২ Time View

ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
মোঃ মনিরুল ইসলাম,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:=কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসবমুখর পরিবেশ ও গভীর শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক দল,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টায় ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় এবং যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এসময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি,উপজেলা প্রশাসন, স্কাউট দলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করে, যা উপস্থিত দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করেন।অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ,রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন



















