০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ৪ টন ঘনচিনি আটক

Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১২ Time View

চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ৪ টন ঘনচিনি আটক

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ-চীন থেকে আমদানি করা ৪ হাজার ২০০ কেজি (৪.২ টন) ঘন চিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এনবিআর জানায়,সরকারের আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২৪ অনুযায়ী ঘন চিনি আমদানি নিষিদ্ধ।‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ঘোষণা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সোডিয়াম সাইক্লাইমেটজাত ঘন চিনি দেশে আনার চেষ্টা করা হয়।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,ঢাকার কেরানীগঞ্জের এজাজ ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানটি এক কনটেইনারে ২২ হাজার ৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে।গত ২১ অক্টোবর কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চালানটির খালাস স্থগিত করে কাস্টম হাউস।পরবর্তীতে ৬ নভেম্বর কায়িক পরীক্ষায় কনটেইনারে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়—একটি অংশে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ঘোষিত পণ্য থাকলেও বাকী ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘন চিনি হিসেবে শনাক্ত হয়।

এনবিআর আরও জানায়,ঘন চিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক,যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি।অসাধু ব্যবসায়ীরা মিষ্টান্ন, বেকারি, আইসক্রিম,বেভারেজ,জুস,কডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতে ঘন চিনি ব্যবহার করে থাকে—যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।এতে ক্যানসার,কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২৮ অক্টোবর পৃথক দুইটি অভিযানে ১০০ টন ঘন চিনি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ৪ টন ঘনচিনি আটক

Update Time : ১২:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ৪ টন ঘনচিনি আটক

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ-চীন থেকে আমদানি করা ৪ হাজার ২০০ কেজি (৪.২ টন) ঘন চিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এনবিআর জানায়,সরকারের আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২৪ অনুযায়ী ঘন চিনি আমদানি নিষিদ্ধ।‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ঘোষণা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সোডিয়াম সাইক্লাইমেটজাত ঘন চিনি দেশে আনার চেষ্টা করা হয়।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,ঢাকার কেরানীগঞ্জের এজাজ ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানটি এক কনটেইনারে ২২ হাজার ৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে।গত ২১ অক্টোবর কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চালানটির খালাস স্থগিত করে কাস্টম হাউস।পরবর্তীতে ৬ নভেম্বর কায়িক পরীক্ষায় কনটেইনারে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়—একটি অংশে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ঘোষিত পণ্য থাকলেও বাকী ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘন চিনি হিসেবে শনাক্ত হয়।

এনবিআর আরও জানায়,ঘন চিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক,যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি।অসাধু ব্যবসায়ীরা মিষ্টান্ন, বেকারি, আইসক্রিম,বেভারেজ,জুস,কডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতে ঘন চিনি ব্যবহার করে থাকে—যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।এতে ক্যানসার,কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২৮ অক্টোবর পৃথক দুইটি অভিযানে ১০০ টন ঘন চিনি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।