গাজীপুরের শ্রীপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
- Update Time : ০৮:২৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৭ Time View

গাজীপুরের শ্রীপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
মোঃ আসাদুজ্জামান বিপু,শ্রীপুর,গাজীপুর:=গাজীপুরের শ্রীপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় লাইসেন্সবিহীন আল-রাজি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার(৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়,অভিযানে লাইসেন্স,পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা,প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় মাওনা চৌরাস্তায় লাইসেন্সবিহীন আল-রাজি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শফিকুল ইসলাম,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার,পুলিশ ও আনসার সদস্য।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন,উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় লাইসেন্সবিহীন আল-রাজি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শর্তসাপেক্ষে দুই মাসের জন্য পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ধরা পড়লে হাসপাতালটি সিলগালা করা হবে।
সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে আল-রাজি হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ ছিল।নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে এসে দেখা যায়,হাসপাতালের কোনো লাইসেন্স বা বৈধ রেজিস্ট্রেশন নেই।এখানে ডেলিভারি বা অপারেশন করার অনুমতিও ছিল না।দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই বলেও প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।ঘটনার সময় কোনো চিকিৎসকও উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি আরও জানান,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়ে দুই মাস সময় নিয়েছে।পরবর্তী অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এর আগে,শনিবার রাতে নবজাতকের বাবা নাজমুল ইসলাম শ্রীপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান,প্রথম সন্তান হওয়ায় আগেই সিজারের মাধ্যমে প্রসব করানোর বিষয়ে হাসপাতালের সঙ্গে তাদের চুক্তি ছিল।কিন্তু পরিবারের অজ্ঞাতেই নার্স ও স্টাফরা নরমাল ডেলিভারি করানোর উদ্যোগ নেয়।সকাল ৮টায় প্রসূতি শারমিনকে ভর্তি করার পর‘সব স্বাভাবিক’বলা হয় এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডেলিভারি কক্ষের বাইরে অপেক্ষায় রাখা হয়।পরে মৃত সন্তান জন্ম নেয়।এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়রা অবিলম্বে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।




















