পর্ব -২
বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জেলার কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গড়াখালি গ্রামের, সাইকেল মেকার ইয়ার আলী জিরো থেকে হিরো হয়েছেন, কি ভাবে এমন প্রশ্ন গুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসির মনে।অনুসন্ধানী টিম এমন এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে নানান চাঞ্চল্যক তথ্য।
অনুসন্ধানে জানাযায়, সাতক্ষীরার জেলার কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গাড়া খালি গ্রামের, ইয়ার আলী ছিলেন, একজন সাইকেল মেরামতকারী,তিনি সাইকেল মেরামতের কাজ করতেন, সে সাইকেল মেরামতের কাজ করতে করতে গড়ে তুলে চোরাকারবারীর সিন্ডিকেট।এবং সেই থেকে শুরু হয় ভাগ্য বদলানোর পালা, ২০১৩ সালে এয়ার আলী এবং তার ছেলে শাহঙ্গীর মাদক ব্যবসা কে কেন্দ্র করে ডবল মার্ডারের আসামি হয়, এর পর থেকেই ইয়ার আলীর ভাগ্য খুলে যায়।তখন থেকেই এলাকার লোকজন এয়ার আলী ও তার ছেলে শাহঙ্গীর এর ভয়ে জীবন যাপন করত এলাকাবাসি। আর এই সুযোগে জিরো থেকে হিরো হওয়ার রাস্তা বেরিয়ে আসে তাদের,তারা বাপবেটা মিলে শুরু করে ভাগ্য বদলাতে,ভাগ্য বদলানোর জন্য তারা বেচে নিয়েছিল, চাঁদাবাজী,ট্রেনডারবাজী,স্বর্ন, অস্ত্র,মাদক ব্যবসা ও চোরাকারবারি।অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যক তথ্য। এলাকাবাসী আরও জানান,কিছু অসৎ নেতাদের ছত্র ছায়া টাকা দিয়ে বারবার জনপ্রতিনিধি হন তিনি এমনকি বর্তমানে নির্বাচনেও প্রার্থী ইয়ার আলী মেম্বার। এই নির্বাচনে জয়ী হতে পারে যদি, তাহলে অনিয়ম ও দুর্নীতির হার বেড়ে যাবে এমনকি যুব সমাজ টা কে ধংশ করে দিবে এমটাই মনে করছেন এলাকাবাসি। একজন সাইকেল মেরামতকীর ঢাকায় গড়ে তুলেছে প্লাট বাড়ি গ্রামেও গড়েছে আলিশান বাড়ি,বনে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক এয়ার আলী মেম্বার এই অর্থ কোথায় থেকে কি ভাবে উপার্জন করেছে,এই বিষয় কতিয়ে দেখার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী।এলাকাবাসী আশা করেন ইয়ার আলী মেম্বার এর বিষয় টি প্রসাশন আমলে নিবেন।আর এই চাঞ্চল্যক তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানী টিম কাজ করে যাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় তলুইগাছা,কেড়াগাছি-চারাবাড়ি সীমান্তে বেড়ে গেছে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চোরাই ঘাট মালিকদেও চাঁদার হার। বেশ কিছুদিন যাবত চোরাই ঘাটগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বন্ধ ছিল চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা। কিন্তু ঐ সীমান্ত দিয়ে আবার বেড়ে গেছে চোরাচালান, মাদক ও স্বর্ণ সহ নানান ব্যবসা।
আর এসব চোরাচালানের নেতৃত্ব দিচ্ছে কেড়াগাছি-চারাবাড়ীর চোরাই ঘাটের লিডার আজারুল ইসলাম, এয়ার আলী মেম্বার,সাবেক মুনছুর মেম্বার,ইব্রাহিম সহ আরও অনেকই থানার নামে প্রত্যেক দিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিজিবি ও পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের সাথে আজারুল, এয়ার আলী মেম্বার, মুনছুর সাবেক মেম্বার, রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। সেই সুবাধে কেড়াগাছির স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম মেম্বার – মাদক ব্যাবসায়ী উসমান, হাবিবউল্লাহ,শাহঙ্গীর সোনা ব্যবসায়ী নারীশিশু ও পাচারকারী উসমান গাজী, অমাল ঘোষ সহ বেশ কয়েক জন। এলাকা বাসী জানায় এদের জন্য যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,এয়ার আলী মেম্বার এর নামে ২০১৩ সালে ডবল মার্ডারের মামলা রয়েছে এবং ২০১৯ সালে বসুন্ধরা গ্রুপের বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোর চ্যানেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত ইয়ার আলী মেম্বারের নামে অস্ত্র পাচারের সংবাদ প্রকাশ হয়।এর পরেও থামেনি ইয়ার আলী মেম্বার এবং তার ছেলে শাহঙ্গীরের নামেও রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। কিছু আগে শাহঙ্গীর ও তার স্ত্রী ১০কেজি রুপা সহ ধরাপড়ে এলাকাবাসী জানান। ” বিস্তারিত আসছে পরের প্রতিবেদনে,,(পর্ব-৩)