সাইনবোর্ডে ডাক্তার ও ভুয়া রেজিঃ নাম্বার লিখে প্রতারণা

- Update Time : ১২:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৮ Time View

সাইনবোর্ডে ডাক্তার ও ভুয়া রেজিঃ নাম্বার লিখে প্রতারণা
(পর্ব-১)
নিজস্ব প্রতিনিধি:-নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ রোড হারিয়াউন্দ ১ নং ব্রিজ সংলগ্ন তাইজুল মার্কেটে মেডিসিন পার্ক নামে একটি ফার্মেসিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ভুয়া ডাক্তার ও ভুয়া রেজিঃ নাম্বার লিখে প্রতারণা করছেন ডাঃ মোঃ শওকত হাসান নামের এক ব্যক্তি।
প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে,আংগুল ফুলে বনে গেছেন কলাগাছ,গড়ে তুলেছে অবৈধ টাকার পাহাড়।ডাঃ মোঃ শওকত হাসান ৫ থেকে ৬ টাকা ভিজিটে নিয়মিত রোগী দেখেন তিনি।হঠাৎ করে সুশীল সমাজের এক ব্যক্তির সন্দেহ হয়,ডাক্তার মোঃ শওকত হাসানকে। পরে তিনি বিষয়টি একটু যাচাই-বাছাই করার চেষ্টা করেন,এমন অবস্থায় উঠে আসে তার আসল রহস্য।এই নিয়ে শুরু হয় এলাকাবাসীর গুঞ্জন। এমন চঞ্চলক ঘটনার তথ্য চলে আসে জাতীয় দৈনিক শেষ সংবাদ পত্রিকার নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধির হাতে।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে ৯ ইং আগষ্ট ২০২৫ রোজ সোমবার বিকেলে উক্ত ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় দৈনিক শেষ সংবাদ পত্রিকার নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ভুয়া ডাক্তার ও তার সহযোগী বাহিনী।হত্যা করার পরিকল্পনা বুঝতে পেরে কৌশলে ঘটনার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সংবাদকর্মী। পরে বিষয়টি তিনি ওনার কর্মরত প্রতিষ্ঠানকে জানাইলে উক্ত বিষয়ে জাতীয় দৈনিক শেষ সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শেখ সেলিম রাজা মুঠো ফোনে ভুয়া ডাক্তারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনিও জাতীয় দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক কে বিভিন্ন অখ্যাত ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন,এমনকি ঢাকা থাকা অফিসকে পুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। ভুয়া ডাক্তার তিনি আরও বলেন,আমার নামে যত পারেন নিউজ করেন,নিউজ করে আমাকে কিছু করতে পারবেন না,আমার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন,দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় কাজ করে,আমার ভাই কে বললে তোদের শেষ সংবাদ পত্রিকার অফিস শেষ করে দিবে।ঠিক কিছুক্ষণ পরে আবার এক ব্যক্তি সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নাম পরিচয় দিয়ে তিনিও দৈনিক শেষ সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক কে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমতাবস্থায় ভুয়া ডাক্তার মোঃ শওকত হোসেন এবং পরিচয় দানকারী সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।বিস্তারিত তুলে ধরবো দ্বিতীয় পর্বে।
ভুয়া ডাক্তার মোঃ শওকত হাসানের বাড়ি প্রাথমিক ভাবে জানা যায়,ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায়।ভুয়া ডাক্তার মোঃ শওকত হাসান যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করতেন,(এ-২১৬২৭)।বিএমডিসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার হচ্ছে ডাঃ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান নামের এক জন ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার।আর এই নাম্বার ব্যবহার করে এবং নামের আগে ডাঃ বসিয়ে এই ভাবে তিনি প্রতারণা করে আসছেন। বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে তুলে ধরব।
দুর্গাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মুহাম্মদ কামরুল আহসান জনিয়র কনসালটেন্ট এনেসথেশিয়া এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইন-২০১০ অনুযায়ী ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহারের দায়ে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অর্থদণ্ড দেওয়া উচিত। তিনি আরোও বলেন,অন্য এক ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে চরম অপরাধ করেছেন এবং রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন,এমনকি যে ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করেছেন উনার সুনাম নষ্ট করছেন এবং এই ডাক্তার কে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি।তাই আমি চাই এই দেশের মানুষের স্বার্থে এবং রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই ভুয়া ডাক্তার মোঃ শওকত হাসানকে এবং এদের সাথে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাদের কে প্রশাসন আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আইনানুযায়ী এমবিবিএস অথবা বিডিএস পাশ না করে কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারেন না।কিন্তু ডাঃ মোঃ শওকত হাসান নামের ব্যক্তি নামের পাশে যে সব পদ পদবী ও ডিগ্রি লাগিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসিতে চেম্বার খুলে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন,এটা একটা রোগীদের সাথে প্রতারণা করেছেন। তিনি আরো বলেন,ডাঃ মোঃ শওকত হাসান নামের এই ব্যক্তি ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে এবং অন্য ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন হাসপাতালের ডিগ্রি ব্যবহার করে তিনি রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন। তিনি আরও বলেন,ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটের হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পরে আমরা বিভিন্ন উপজেলায় সবাইকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।
দ্বিতীয় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন,আমাদের পত্রিকার পাতায়.. (অনুসন্ধান চলমান আছে)