০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্যামনগর হাসপাতালে সুমন কুমার রায় ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

Reporter Name
  • Update Time : ০১:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৮ Time View

শ্যামনগর হাসপাতালে সুমন কুমার রায় ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি:-সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমারজেন্সি ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কালিগঞ্জ উপজেলার দুলাবলা গ্রামের ওমর ফারুক (খোকন) এর স্ত্রী মিনা সকাল প্রায় আনুমানিক ১১ টার দিকে চিকিৎসা নিতে আসে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।তাকে চিকিৎসা দিতে অনিহা প্রকাশ করেন ডাক্তার সুমন কুমার কুমার রায়।পরিবারের অভিযোগ ডাক্তার রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে বাহিরে স্মার্ট হাসপাতালে চেম্বার করার অভিযোগ করেন।রোগীর নিকট আত্মীয় জানান,মিনা পারিবারিক কলহলে বিষ পান করে, ঘটনাস্থল থেকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিকটবর্তী হওয়ায় তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আরো জানান,ইমারজেন্সি ডাক্তার সুমন কুমার রায় ইমারজেন্সি তে না থাকায় তার সহযোগী ডিউটিতে থাকা শ্যামলি রানি প্রাথমিক চিকিৎসা (ওয়াশ) শেষে রুগীকে ওয়ার্ডে পাঠায় দেয়।ওয়ার্ডে রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স খালেদা খাতুন কয়েক বার ওয়ার্ড বয় মাসুদ কে ডাক্তার সুমন কুমার রায়কে ডাকতে পাঠালে তিনি ওয়ার্ডে যাননি।রোগীর পরিবারের লোকজন রাগারাগি করতে থাকলে দ্রুত তারসাথে ডাক্তার সুমন কুমার রায় রোগীকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।বলেন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিচ্ছে উন্নত চিকিৎসার দরকার।

ইমারজেন্সি ডিউটি ডাক্তার সুমন কুমার রায় জানান,পয়েজিং রোগীর অস করার সময় আমি ছিলাম না,ট্রিটমেন্ট দেয়ার সময় আমি ছিলাম, পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় পাঠায়।আমার রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে রাখলে বেঁচে যেত বলে জানান তিনি,সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পর রোগী মারা যায় চিকিৎসারত অবস্থায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্টাফ বলেন, আমাদের হাসপাতালে ইমার্জেন্সি ডাক্তাররা অধিকাংশ সময়ই ডিউটিতে বসেন না,যার কারনে রোগীদের ইনস্তা হতে হয়।চিকিৎসা নিতে আসা আজিজুল বলেন,ইমারজেন্সিতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ডিউটি ডাক্তারের দেখা মিললো না।সহকারী ডাক্তারের দেখিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।হাসপাতালে সরকারিভাবে ডাক্তার থাকার কথা শুনে এসেছিলাম শুনলাম উনি বাইরে স্মার্ট হাসপাতালে রোগী দেখতে গেছে,আমার কাছে টাকাও নেই যে আমি ভিজিট কেটে ওনাকে দেখাবো,তাই সহকারী ডাক্তার একজন কে দেখিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।এ ছাড়া আরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শ্যামনগর হাসপাতালে সুমন কুমার রায় ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

Update Time : ০১:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্যামনগর হাসপাতালে সুমন কুমার রায় ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি:-সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমারজেন্সি ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কালিগঞ্জ উপজেলার দুলাবলা গ্রামের ওমর ফারুক (খোকন) এর স্ত্রী মিনা সকাল প্রায় আনুমানিক ১১ টার দিকে চিকিৎসা নিতে আসে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।তাকে চিকিৎসা দিতে অনিহা প্রকাশ করেন ডাক্তার সুমন কুমার কুমার রায়।পরিবারের অভিযোগ ডাক্তার রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে বাহিরে স্মার্ট হাসপাতালে চেম্বার করার অভিযোগ করেন।রোগীর নিকট আত্মীয় জানান,মিনা পারিবারিক কলহলে বিষ পান করে, ঘটনাস্থল থেকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিকটবর্তী হওয়ায় তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আরো জানান,ইমারজেন্সি ডাক্তার সুমন কুমার রায় ইমারজেন্সি তে না থাকায় তার সহযোগী ডিউটিতে থাকা শ্যামলি রানি প্রাথমিক চিকিৎসা (ওয়াশ) শেষে রুগীকে ওয়ার্ডে পাঠায় দেয়।ওয়ার্ডে রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স খালেদা খাতুন কয়েক বার ওয়ার্ড বয় মাসুদ কে ডাক্তার সুমন কুমার রায়কে ডাকতে পাঠালে তিনি ওয়ার্ডে যাননি।রোগীর পরিবারের লোকজন রাগারাগি করতে থাকলে দ্রুত তারসাথে ডাক্তার সুমন কুমার রায় রোগীকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।বলেন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিচ্ছে উন্নত চিকিৎসার দরকার।

ইমারজেন্সি ডিউটি ডাক্তার সুমন কুমার রায় জানান,পয়েজিং রোগীর অস করার সময় আমি ছিলাম না,ট্রিটমেন্ট দেয়ার সময় আমি ছিলাম, পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় পাঠায়।আমার রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে রাখলে বেঁচে যেত বলে জানান তিনি,সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পর রোগী মারা যায় চিকিৎসারত অবস্থায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্টাফ বলেন, আমাদের হাসপাতালে ইমার্জেন্সি ডাক্তাররা অধিকাংশ সময়ই ডিউটিতে বসেন না,যার কারনে রোগীদের ইনস্তা হতে হয়।চিকিৎসা নিতে আসা আজিজুল বলেন,ইমারজেন্সিতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ডিউটি ডাক্তারের দেখা মিললো না।সহকারী ডাক্তারের দেখিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।হাসপাতালে সরকারিভাবে ডাক্তার থাকার কথা শুনে এসেছিলাম শুনলাম উনি বাইরে স্মার্ট হাসপাতালে রোগী দেখতে গেছে,আমার কাছে টাকাও নেই যে আমি ভিজিট কেটে ওনাকে দেখাবো,তাই সহকারী ডাক্তার একজন কে দেখিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।এ ছাড়া আরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।