০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাওনা থেকে শ্রীপুরের সেই চিরচনা পথ,অপেক্ষার প্রহরী ও একটি অবাধ্য চাকা

Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১ Time View

মাওনা থেকে শ্রীপুরের সেই চিরচনা পথ,অপেক্ষার প্রহরী ও একটি অবাধ্য চাকা

মোঃসুলতান মাহমুদ,:=মাওনা থেকে শ্রীপুরের সেই চিরচেনা পথ।পিচঢালা রাস্তাটা যেন এক বিশাল অজগর,যা শত শত যানবাহনকে গিলে খেয়েও শান্ত হতে পারছে না।ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে, কিন্তু রাস্তার চাকা ঘুরছে না।চারদিকে ইঞ্জিনের গোঙানি আর তপ্ত ধোঁয়ার কুণ্ডলী সব মিলিয়ে এক অসহনীয় স্থবিরতা। ঠিক সেই বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে একটি জরাজীর্ণ ভ্যান গাড়ি।রাস্তার অর্ধেকটা দখল করে সে থমকে আছে। ভ্যানভর্তি মালামাল নয়,যেন একরাশ অবজ্ঞা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা।তার পেছনে আটকা পড়ে আছে শত শত যান্ত্রিক বাহন, যাদের তাড়া আছে, গন্তব্য আছে।কিন্তু এই ভ্যানটির কাছে যেন সময়ের কোনো মূল্য নেই।সবচেয়ে রহস্যময় দৃশ্যটি দেখা গেল একটু পরেই।একজন পুলিশ সদস্য ক্রমাগত চিল্লাচিল্লি করছেন,ধমকাচ্ছেন,আইন আর শৃঙ্খলার দোহাই দিচ্ছেন।

কিন্তু বিক্রেতার কানে সেই শব্দ পৌঁছাচ্ছে না। তিনি যেন,এক অন্য জগতের বাসিন্দা,যেখানে পুলিশের তর্জন-গর্জন স্রেফ বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ।পৃথিবীর সব তাড়াহুড়ো আর হাহাকারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তিনি নির্বিকার চিত্তে পণ্য বিক্রি করছেন।প্রশ্ন জাগে এই অসীম সাহসের উৎস কোথায়? শত শত মানুষের সময় চুরি করে নেওয়া এই ভ্যানটি কি কেবলই একটি যান,নাকি এই ঘুণে ধরা সিস্টেমের এক জীবন্ত প্রতীক!

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মাওনা থেকে শ্রীপুরের সেই চিরচনা পথ,অপেক্ষার প্রহরী ও একটি অবাধ্য চাকা

Update Time : ১০:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মাওনা থেকে শ্রীপুরের সেই চিরচনা পথ,অপেক্ষার প্রহরী ও একটি অবাধ্য চাকা

মোঃসুলতান মাহমুদ,:=মাওনা থেকে শ্রীপুরের সেই চিরচেনা পথ।পিচঢালা রাস্তাটা যেন এক বিশাল অজগর,যা শত শত যানবাহনকে গিলে খেয়েও শান্ত হতে পারছে না।ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে, কিন্তু রাস্তার চাকা ঘুরছে না।চারদিকে ইঞ্জিনের গোঙানি আর তপ্ত ধোঁয়ার কুণ্ডলী সব মিলিয়ে এক অসহনীয় স্থবিরতা। ঠিক সেই বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে একটি জরাজীর্ণ ভ্যান গাড়ি।রাস্তার অর্ধেকটা দখল করে সে থমকে আছে। ভ্যানভর্তি মালামাল নয়,যেন একরাশ অবজ্ঞা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা।তার পেছনে আটকা পড়ে আছে শত শত যান্ত্রিক বাহন, যাদের তাড়া আছে, গন্তব্য আছে।কিন্তু এই ভ্যানটির কাছে যেন সময়ের কোনো মূল্য নেই।সবচেয়ে রহস্যময় দৃশ্যটি দেখা গেল একটু পরেই।একজন পুলিশ সদস্য ক্রমাগত চিল্লাচিল্লি করছেন,ধমকাচ্ছেন,আইন আর শৃঙ্খলার দোহাই দিচ্ছেন।

কিন্তু বিক্রেতার কানে সেই শব্দ পৌঁছাচ্ছে না। তিনি যেন,এক অন্য জগতের বাসিন্দা,যেখানে পুলিশের তর্জন-গর্জন স্রেফ বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ।পৃথিবীর সব তাড়াহুড়ো আর হাহাকারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তিনি নির্বিকার চিত্তে পণ্য বিক্রি করছেন।প্রশ্ন জাগে এই অসীম সাহসের উৎস কোথায়? শত শত মানুষের সময় চুরি করে নেওয়া এই ভ্যানটি কি কেবলই একটি যান,নাকি এই ঘুণে ধরা সিস্টেমের এক জীবন্ত প্রতীক!