০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেন

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫৭ Time View

আওয়ামীলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেন

কোটালীপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি:-চিরতরে আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্য ভেঙে ফেললেন কোটালীপাড়া পিঞ্জরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পিঞ্জরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবু ছাইদ শিকদার।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।সাথে সাথে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ভিতরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

উক্ত বিষয়টি আজ রবিবার বেলা দশ ঘটিকার সময় কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ির পুকুর ঘাটে নির্মিত নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেন।আর বলতে থাকেন জীবনে যতদিন বেঁচে আছি,আর কোনদিন আওয়ামী লীগ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবো না।তাতে যদি আগামী দিনও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে,তারপরেও আর কোনদিন আওয়ামী লীগ দল করবো না।তিনি আরো বলেন,যে দেশের নেতা বা নেত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে,স পরিবারে বিদেশে পালিয়ে যায়,এ ধরনের দল করা থেকে বিরত থাকা উচিত।এ ধরনের দল করা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল।তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গেছেন।দেশের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানি,হামলা ও মামলার শিকার হচ্ছে।এরই মধ্যে বেশ কিছুসংখ্যক জেলা -উপজেলার নেত্রী বর্গ জেলে রয়েছেন।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন যে দলই করি না কেন,কিন্তু আওয়ামী লীগের সাথে আর কোনদিন থাকবো না।তাই আমার বাড়ির সামনের পুকুর ঘাটে নির্মিত নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি,আমি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেছি।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায়,তাদের সাথে কোন প্রকার কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আবু সাঈদ শিকদার গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ধর্ম মন্ত্রী,সাবেক আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি,প্রয়াত আব্দুল্লাহ মিয়ার ভাগ্নাে।জনশ্রুতি আছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে,আবু সাঈদ সিকদার যথেষ্ট প্রভাবশালী একজন আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সময়ে এবং তার মামা আব্দুল্লাহ মিয়া ধর্মমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।সেই সমস্ত কালো টাকা সাদা করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার নাটক করছেন তিনি।আরো বলেন,এসব করে আসল সত্যকে এবং সকল প্রকার দুর্নীতিকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন না,দুর্নীতি দমন কমিশন সঠিক তদন্ত করলে তাহার শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।

এছাড়াও স্থানীয় জনগণ সাংবাদিকদের বলেন,
এভাবে করে আবু সাঈদ শিকদার দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ দলের উপরে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত প্রকাশ করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

আওয়ামীলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেন

Update Time : ০৮:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

আওয়ামীলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেন

কোটালীপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি:-চিরতরে আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্য ভেঙে ফেললেন কোটালীপাড়া পিঞ্জরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পিঞ্জরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবু ছাইদ শিকদার।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।সাথে সাথে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ভিতরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

উক্ত বিষয়টি আজ রবিবার বেলা দশ ঘটিকার সময় কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ির পুকুর ঘাটে নির্মিত নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেন।আর বলতে থাকেন জীবনে যতদিন বেঁচে আছি,আর কোনদিন আওয়ামী লীগ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবো না।তাতে যদি আগামী দিনও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে,তারপরেও আর কোনদিন আওয়ামী লীগ দল করবো না।তিনি আরো বলেন,যে দেশের নেতা বা নেত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে,স পরিবারে বিদেশে পালিয়ে যায়,এ ধরনের দল করা থেকে বিরত থাকা উচিত।এ ধরনের দল করা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল।তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গেছেন।দেশের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানি,হামলা ও মামলার শিকার হচ্ছে।এরই মধ্যে বেশ কিছুসংখ্যক জেলা -উপজেলার নেত্রী বর্গ জেলে রয়েছেন।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন যে দলই করি না কেন,কিন্তু আওয়ামী লীগের সাথে আর কোনদিন থাকবো না।তাই আমার বাড়ির সামনের পুকুর ঘাটে নির্মিত নৌকা প্রতীকের ভাস্কর্যটি,আমি নিজ হাতে ভেঙে ফেলেছি।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায়,তাদের সাথে কোন প্রকার কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আবু সাঈদ শিকদার গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ধর্ম মন্ত্রী,সাবেক আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি,প্রয়াত আব্দুল্লাহ মিয়ার ভাগ্নাে।জনশ্রুতি আছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে,আবু সাঈদ সিকদার যথেষ্ট প্রভাবশালী একজন আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সময়ে এবং তার মামা আব্দুল্লাহ মিয়া ধর্মমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।সেই সমস্ত কালো টাকা সাদা করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার নাটক করছেন তিনি।আরো বলেন,এসব করে আসল সত্যকে এবং সকল প্রকার দুর্নীতিকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন না,দুর্নীতি দমন কমিশন সঠিক তদন্ত করলে তাহার শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।

এছাড়াও স্থানীয় জনগণ সাংবাদিকদের বলেন,
এভাবে করে আবু সাঈদ শিকদার দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ দলের উপরে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত প্রকাশ করেন।